Rajbari Protidin

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শনিবার
ব্রেকিং নিউজ

কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। দেশে আবার ২০১৩, ১৪, ১৫ সাল তৈরি করবে। ঢাকা শহর দুই কোটি মানুষের শহর, ফলে ঢাকা ঘেরাও করতে কোটি মানুষ প্রয়োজন হবে। আর ঢাকা শহরে আমরাও থাকি। যারা তাদের পার্টি অফিসের সামনে থেকে পালিয়ে গরুর বাজারে আশ্রয় নেয়, যারা বোরকা পরে হাইকোর্টে হাজির হয়, তারা কী করতে পারবে, কতটুকু করতে পারবে সেটা আমাদের জানা আছে। তবে কাউকে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালাতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছে। তাদের প্রমোশন দিয়েছে। এত কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেছেন, এত প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন। কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেটি কি তারা কখনো করত? শুধু তাই নয়, তারা (বিএনপি) এফবিআই’র এজেন্ড লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা করেছে। সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে, এফবিআই’র বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়া টিউলিপের নাম দেখে চুক্তি পর্যন্ত বাতিল করেছে। কী রকম প্রতিহিংসা তার। সেই মানুষটির প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখাচ্ছেন সেটি অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তারা চানও না নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি অন্য কেউ নেতা হোক। অন্য কাউকে নেতা না বানানোর জন্যই খালেদা জিয়া বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দেন না।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতো সরকার- এমন কোনো শর্ত রেখেছেন কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, এসব আজগুবি কথা কোথা থেকে বলে আমি জানি না। কারণ বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র আবাসিক হলে থাকা বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাগজে নিউজটা দেখেছি। আমি আশ্চর্য হয়েছি যে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে নিতে পারে। বিয়ে করলে ছাত্রীরা হলে থাকতে পারবে না এরকম সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক। এরকম সিদ্ধান্ত কীভাবে নেয়, এটা হতেই পারে না।
দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে কতটুকু উন্নতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নতুন করে কী করা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড না থাকার কারণে প্রতিবছর কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যেত। এখন ক্লিনফিড চালু হওয়াতে কী লাভ হয়েছে, সেটি টেলিভিশনের মালিকরা বলতে পারবেন। তবে কিছু কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি টিভির মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শন বা বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়াতে আমাদের টেলিভিশন শিল্প উপকৃত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের দেশ থেকে যে ৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন চলে যেত সেটি বন্ধ হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি ও মিডিয়া শিল্পের জন্য ভালো হয়েছে। ক্লিনফিডের উপকার শুধু টেলিভিশন শিল্প পাচ্ছে তা নয়, পুরো মিডিয়া শিল্পই এর সুফল পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, কিছু আইএসপি প্রতিষ্ঠান যারা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার… তারা কিন্তু ক্লিনফিড চালাচ্ছে না। তারা তাদের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। সেটি নিয়ে কাজ চলছে। আজকে এটিও একটি আলোচনার বিষয় এবং এটিও বন্ধ করতে হবে।

সোশাল মিডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: