Rajbari Protidin

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শনিবার
ব্রেকিং নিউজ

খুনিরা সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেছিল : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যাকান্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেনকে যখন হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলের মতো শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল, নারী ও শিশুদের রেহাই দেওয়া হয়নি। চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১০-১১ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। খুনিরা সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেছিল।
বুধবার বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় এই নিষ্পাপ শিশু যে রাজনীতি বুঝত না, রাজনীতি করত না, রাজনীতির আশপাশেও ছিল না তাকে ও হত্যা করা হয়েছিল।
শেখ রাসেল দিবসে তার মর্মস্পর্শী ইতিহাস স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক যেটি এখন সিনেমা হলে চলছে সেটি যারা দেখেছেন বা দেখবেন, তারা দেখতে পাবেন, সেই হত্যাযজ্ঞের সময় বাড়ির সিঁড়ির তলায় আশ্রয় নেওয়া শেখ রাসেলকে যখন টানাহেঁচড়া করা হচ্ছিল তখন শেখ রাসেল বলেছিল, আমি মায়ের কাছে যাব। খুনিরা শেখ রাসেলকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। অর্থাৎ সে দিন খুনীরা যে কী নৃশংস, নির্মম, বর্বর ছিল সেটিরই প্রমাণ এই হত্যাকান্ড।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন তখনই আরও পূর্ণতা পাবে, যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ ১৫ আগস্টের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৫ আগস্টে সংঘটিত এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যে খুনের মাধ্যমে তাদের উত্থান সেই খুনের রাজনীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। দেশটাকে তারা এখন বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সোশাল মিডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: