মেহেদী হাসান : পানি কমার ফলে রাজবাড়ীর পদ্মায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। এরই মধ্যে গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে অন্তত ৩০ বিঘা ফসলী জমি। ভাঙ্গন ঝুকিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামীন সড়ক, ব্রীজ, বসতবাড়িসহ বহু স্থাপনা।
সোমবার সকালে সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা এলাকা ঘুরে দেখাযায় গ্রাম তিনটি থেকে কয়েকশত গজ সামনেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে মুুহুর্তেই নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে ফসলী জমি। একের পর এক চাপ ভেঙ্গে পরায় আতঙ্কিত হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। হতাশদৃষ্টিতে পদ্মার দিকে অপলকদৃষ্টিতে চেয়ে আছেন তারা।
এ সময় মিজানপুর ইউনিয়নের কালিতলা ঈদগাহ মাঠ এলাকর বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবৎ কমছে পদ্মা নদীর পানি, আর পানি কমার ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে । ভাঙ্গনের কারনে নদীগর্ভে বীলিন হয়েছে এই এলাকার অন্তত ৩০ বিঘা ফসলী জমি। অনেক ফসলের ক্ষেতে পটল, ভেন্ডি, ধুনদুলসহ বিভিন্ন সবজির চাষ রয়েছে, সেই সবজিসহ নদীতে চলে যাচ্ছে।
মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আলি হোসেন বলেন, ফসলী জমির পর এখন মারাত্বক ঝুকিতে পরেছে মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা গ্রামের শতশত বসতবাড়ি, গ্রামীন সড়ক, ব্রীজ, মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা। জরুরী ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে বড় ধরনের বিপদ আসতে যাচ্ছে।
বেনি নগর গ্রামের বাসিন্দা আসমা বেগম বলেন, প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের কারনে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙ্গছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের। যে কারনে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।
লালগোলা এলাকার বাসিন্দা আক্কাছ সরদার বলেন, নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এখনও কাজ শুরু হয়নি। আবার গত বছরের ভাঙ্গনে যে সমস্ত এলাকায় ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো তাও কেটে নিয়ে যাচ্ছে গাজাখোর ও বখাটেরা। এতেও বাড়ছে ঝুকি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ( বাপাউবো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমীন বলেন, রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা হড়াই ও গড়াইসহ ৮৫ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। যেখানেই ভাঙ্গন দেখা দেয় গুরুত্বভেদে ব্যাবস্থা নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিছু অসচেতন মানুষের জিও ব্যাগ কেটে নিয়ে যাওয়ার কারনে একই এলাকায় বার বার ভাঙ্গন দেখা দেখা দেয়। আবার পানিবাড়লে ওই সকল এলাকা চিন্থিত করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। তাই এলাকাবাসীকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।