স্টাফ রিপোর্টার : নতুন কর্মকর্তা যোগদান করায় আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে রাজবাড়ী জেলা সদরে অবস্থিত প্রধান ডাকঘরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে রাজবাড়ী প্রধান ডাকঘরের আমানতকারী গ্রাহকরা ১৭ দিন ধরে তাদের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। একারণে প্রতিদিনই পোস্ট অফিসে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। আর পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে গ্রাহকদেরও প্রতিনিয়ত: বাকবিতন্ডা ও বচসার সৃষ্টি হচ্ছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিন পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পেনশন স্কীমে টাকা জমা রাখা বেশ কিছু গ্রাহকদের জটলা । এদের অনেকেই পোস্ট অফিসের বড় কর্মকর্তার আসার অপেক্ষা করছেন। এসময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার কামালদিয়া এলাকার বাসিন্দা বিলকিছ বেগম বলেন, আমি ২০২১ সালে ১১ নভেম্বর রাজবাড়ী পোস্ট অফিসে (প্রধান ডাকঘর) ৩ লক্ষ টাকা জমা রাখি। সম্প্রতি আমার স্বামী প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসে একটি জমির বায়না ক্রয় করেছেন। এখন টাকার জন্য ২ সপ্তাহ যাবৎ প্রতিদিনই পোস্ট অফিসে এসে ঘুরে যাচ্ছি। পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, সার্ভার, আইডি, পার্সওয়ার্ড জটিলতার কারণে টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমার নিজের টাকা নিজে না পেয়ে এখন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোস্ট অফিসে টাকা রাখার প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরী হবে।
অপর গ্রাহক মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। আমি ১৭দিন যাবৎ ঘুরছি। সরকার যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপ দিচ্ছেন, সেখানে ১৭ দিনেও ঢাকা থেকে একটি পার্সওয়ার্ড পাওয়া যায় না। তাহলে আমরা এ স্মার্ট দিয়ে কি করবো। এ বিষয়ে কারো কোন গাফিলতি থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার মোঃ রিয়াজুল হক বলেন, কোন পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার যোগদান করেন, তখন প্রধান কার্যালয় থেকে তার নামে একটি আইডি ও পার্সওয়ার্ড খুলে দেওয়া হয়। যে আইডি দ্বারা অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রায় ৩ সপ্তাহ পার হলেও পোস্ট মাস্টারের নামের আইডি ও পার্সওয়ার্ড পাইনি। এতে প্রতিদিনই গ্রাহক দ্বারা আমাদের কটু কথা শুনতে হচ্ছে। তিনি জানান, এ সমস্যা সমাধানে ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল, কুষ্টিয়কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হবে।