রুবেলুর রহমান : সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। সে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে বিকাশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রতারক চক্রের দৌড়াত্বে রাজবাড়ীতে ভোগান্তিতে পড়ছেন এজেন্ট, ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা।
চলতি মাসে এ চক্রের দৌড়াত্ব বেড়েছে। এ নিয়ে জেলা শহরের রেলগেইট, প্রেসক্লাব ও আজাদী ময়দান সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বিকাশের দোকদাররা আকঙ্কে আছেন।
এদিকে গত ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রতিকার ও সচেতনতা তৈরিতে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন রাজবাড়ী জেলা শহরের আজাদী ময়দান ও সালমা হোটেল সংলগ্ন আলো ছায়া স্টুডিও ও বিকাশের এজেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ চাঁদ আলী মোল্লা (৪০)।
অভিযোগে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু অপরিচিত নম্বর থেকে আলো ছায়া স্টুডিও দোকানের নাম ব্যবহার করে মালিকের পরিচয় দিয়ে বিকাশ কাস্টমার সহ ওই দোকান মালিককে ফোন করছেন। বলছেন আমি মোঃ চাঁদ আলী মোল্লা, তখন তিনি বুঝতে পারেন এরা বিকাশ প্রতারক। তখন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করার আগেই লাইন কেটে দেয়। প্রতারক চক্রটি তার দোকানের কাস্টমারদের নম্বর সংগ্রহ করে তাদের ফোন করছে বলছে তিনি চাঁদ আলী মোল্লা। বিকাশ নম্বরে সমস্যা অথবা ভুল করে টাকা গেছে বা আপনার নম্বরটি বন্ধ হয়ে যাবে। ঝামেলা মুক্ত ও নম্বরটি সচল রাখতে আপনার ফোনে একটি ওটিপি কোড যাবে। এ ভাবে তার দোকানের একাধিক কাস্টমারদের ফোন করছে চক্রটি। যার কারণে তিনি ভীত হয়ে থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন।
আলো ছায়া স্টুডিও ও বিকাশের এজেন্ট মোঃ চাঁদ আলী মোল্লা বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে খুব সমস্যার মধ্যে আছেন। তার দোকান থেকে বিকাশে যে নম্বরে টাকা পাঠাচ্ছেন বা আসছে। ওইসব নম্বর ব্যবহারকারী কাস্টমারদের নানা অজুহাতে ফোন করে প্রতারক চক্রটি। পরে কাস্টমাররা তাকে ফোন করছেন। দীর্ঘ দিনের ব্যবসা এ প্রতারক চক্রের কারণে হুমকিতে পড়েছে। এমনকি প্রতারক চক্রটি তার নিজের নম্বরে ফোন দিয়ে তার নিজের নাম বলে প্রতারনার চেষ্টা করছে। যার কারণে তিনি থানায় ডায়রী করেছেন এবং কাস্টমাররা যেন প্রতারিত না হয়, সে জন্য দোকানের সামনে একাধিক জায়গায় সচেতনতামূলক লিফলেট লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত তার প্রায় ৪০জন কাস্টমারকে ফোন দিয়েছে চক্রটি।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাব সংলগ্ন বিকাশ ও লোড ব্যবসায়ী রুবেল আহমেদ বলেন, দূর্গাপূজার পর থেকে এ প্রতারক চক্রটির উৎপাত বেড়েছে। বিকাশ অফিসে বলেও লাভ হচ্ছে না। তারা বলছে প্রতারক চক্রটি যে ওটিপি বা পিন চাইবে সেটি কোন ভাবেই দেওয়া যাবে না। ওটিপি পিন না দিলে প্রতারক চক্রটি কিছুই করতে পারবেনা। এখন কাস্টমারদেরওকেউ তারা একথা জানিয়ে দিচ্ছেন।
বিকাশ কাস্টসার সোহেল রানা বলেন, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে তার নম্বরে একটি অপিরিচিত নম্বর হতে ফোন আসে। বলে আপনার বিকাশে আমার দোকান থেকে ভুল করে টাকা চলে গেছে। পরে তিনি এ জন্য থানায় অভিযোগ করে তাকে ফোন দিয়েছেন। বিকাশ অফিসেও জানিয়েছেন, যার কারণে দ্রুত আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য আপনার একাউন্টে একটি ওটিপি পিন পাঠানো হয়েছে। যদি একাউন্ট সচল রাখতে চান তাহলে পিনটি বলুন। এ সময় তিনি প্রতারক বুঝতে পেরে ফোনটি কেটে দেন।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেছেয়েন। প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত ও ধরতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।