মেহেদী হাসান : রাজবাড়ীতে সাবানা বেগম (২৮) নামে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। সাবানা পূর্ব পাকুরীকান্দা গ্রামের সাইদ শিকদারের মেয়ে।
বুধবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের পূর্ব পাকুরীকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাবানার ভাই জহির শিকদার বলেন, ১০ বছর আগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মুলঘর গ্রামের মৃত ইসলাম শেখের ছেলে ভ্যানচালক মোবারক শেখ (৫০) সঙ্গে সাবানার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। মোবারক প্রায়ই সাবানাকে মারধর ও নির্যাতন করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে দুই মাস আগে সাবানা ছেলে আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসে একতরফাভাবে স্বামীকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন মোবারক।
জহির জানান, বুধবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে সাবানা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হন। এ সময় তার ছেলে ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে ওৎ পেতে থাকেন মোবারক। সাবানা ঘরে ঢোকা মাত্রই ধারালো চাকু দিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টা করেন। সাবানার চিৎকারে তার ছেলের ঘুম ভেঙে যায়। এসময় মা-ছেলে জোরে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘুম ভেঙে যায়। তখন মোবারক দৌড়ে পালিয়ে যান। সাবানাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ওই হাসপাতালে নেয়ার পর সাবানার গলায় ১৪ টি সেলাই দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মোবারক শেখের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান সাবানার ভাই জহির শিকদার।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত মোবারক শেখকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।