Rajbari Protidin

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শনিবার
ব্রেকিং নিউজ

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ৬ ইউপি চেয়ারম্যান। গত ৮ অক্টোবর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর বিশ্বাস, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাষ্টার, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর, জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কল্লোল কুমার বসু, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল ইসলাম, বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত অভিযোগ প্রদান করেন। তবে জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম ফরিদ হোসেন বাবু অভিযোগে স্বাক্ষর করেননি।
অভিযোগে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছাঃ নাসরিন সুলতানা গত ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে বালিয়াকান্দিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকায় তিনি প্রতিনিয়ত দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা- স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। এমনকি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তার কাছে গেলেও তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবী করে, টাকা না দিলে সে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং বিল ছাড়করণে নানাবিধ তালবাহানা করে। সম্প্রতি টিআর, কাবিখার কাজে তিনি বরাদ্দের ৩৫% টাকা দাবী করছেন। ৩৫% টাকা না দিলে কাজ শেষে বিল ছাড় করবেন না বলে তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীপরিষদের নির্দেশনা রয়েছে একজন কর্মকর্তা ৩ বছর এক কর্মস্থলে থাকবে অথচ এ কর্মকর্তা বিধিবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৭ বছর বালিয়াকান্দিতে চাকরী করছেন। তৃণমুলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধাবাবাহিকতা রক্ষায় এ দুর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছাঃ নাসরিন সুলতানার বদলীর দাবী জানান।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছাঃ নাসরিন সুলতানা বলেন, চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত টিআর, কাবিখার কোন কাজ হয়নি। তাহলে চেয়ারম্যানদের কাছে টাকা দাবী করার অভিযোগটি হাস্যকর, যার কোন ভিত্তি নেই। আর বদলীর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিষয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কেউ আমাকে অভিযোগ দেয়নি। এটি ভুলবোঝাবুঝির কারণে হয়েছে, তাদের মধ্যে সুরহা হয়ে যাবে।

সোশাল মিডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: